করোনা পরিস্থিতিতে সনাতনী পশু হাট বন্ধ করে অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি

আন্দোলন প্রতিবেদন
বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০ | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী সরকার আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে করোনার এই পরিস্থিতিতে প্রচন্ড ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও পশু বিক্রির হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞদের মতামত, আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গণবিরোধী এই সরকার অবাধে পশু বিক্রির অব্যবস্থাপনা রেখেই তা করছে। এটা করছে আওয়ামী নেতা ইজারাদারদের পকেট ভারী করার জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনার ভয়াবহতা অনুমান করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাট বসালে বা কেনা-বেচা করলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এগুলো যে বোলচাল তা বহু প্রমাণিত। এই করোনাকালেও সরকারের আদেশ-নির্দেশ বুর্জোয়া ব্যবসায়ীরা কানে তোলেনি তা বারবারই দেখা গেছে। এই হুঁশিয়ারের মধ্য দিয়ে মন্ত্রী মহোদয় আওয়ামী ঘরানার ইজারাদার মুনাফাখোরদের আড়াল করা এবং তাদের ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব জনগণের কাঁধে চাপানোর মতলব করছে।
যেমনটা তারা করেছে এই করোনাকালের শুরু থেকেই। ঘরহীন, বস্তিবাসী, বস্তিসর্বস্ব ঘরের নিম্নবিত্তদের ঘরে থাকার নসিহত করে মূলত উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তদের নিরাপদ করার ব্যবস্থ করেছে। তারা কার্যকরী লকডাউন ব্যবস্থা না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনগণকে গ্রামমুখী করে করোনা ছাড়ানোর প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা না করে এপ্রিলের শুরুতে শ্রমিকদের শহরে আনা ও পরে জনমতের চাপে গার্মেন্টস সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের গ্রামে ফিরে যেতে উৎসাহিত করেছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবীদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছানের (জনগণ নির্ভর) সুব্যবস্থা না করে ঘরে থাকার নসিহত করে মূলত তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। শ্রমজীবী জনগণ খাদ্যের সন্ধানে, ত্রাণের জন্য পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য এই গণবিরোধী সরকার অভুক্ত, অসহায় দরিদ্র জনগণকেই দায়ী করেছে। এখন কোরবানীর পশু বেচা-কেনার বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা না করে অবাধে পশু বেচা-কেনার অরাজকতার সৃষ্টি করার দিকে জনগণকে পরিচালিত করছে।
এই করোনা সংকটকালে ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত না দিয়েও সরকার জনগণের কাছে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানী না করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে পারত। পাশাপাশি কৃষক এবং পশু ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পশু বেচা-কেনার ব্যাবস্থা করতে পারত। কিন্তু সরকার তার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার ব্যবস্থা করতে পারে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা সরকার করতে পারে। এ কাজে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষিত তরুণ-যুবকদেরও (যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী) কাজে লাগাতে পারে। এতে কৃষকের গরু বিক্রির ব্যবস্থা হবে এবং জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। তরুণ-যুবকরাও কাজে লাগবে এবং এই করোনাকালে তারাও কিছু কাজ পাবে। সরকারের এ ধরনের কোনো চিন্তা বা পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কারণ তারা আওয়ামী ঘরানার ইজারাদারদের মুনাফার লাভের কর্মে ব্যস্ত। গণবিরোধী সরকার এই করোনাকালেও দেশের তরুণ-যুবকদের শক্তিকে কোনো কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নেইনি, নিচ্ছে না। তারা আওয়ামী নেতা (কথিত জনপ্রতিনিধি) কর্মী, ক্যাডারদের উপর দায়িত্ব দিয়ে মূলত তাদের লুটপাটের ব্যবস্থা করছে এবং গণক্ষমতার প্রতিরোধ করছে, তাকে ভয় পাচ্ছে।
সর্বস্তরের জনগণকে এই করোনা মহামারির ঊর্ধ্বমূখীকালে কোরবানীর পশু কেনা-বেচার জন্য সনাতনী পদ্ধতিতে পশুর হাট বন্ধ করা, অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থার জোর দাবি তুলতে হবে। আরেক ধাপ করোনা ছড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনা পরিস্থিতিতে সনাতনী পশু হাট বন্ধ করে অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি
আওয়ামী সরকার আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে করোনার এই পরিস্থিতিতে প্রচন্ড ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও পশু বিক্রির হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞদের মতামত, আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গণবিরোধী এই সরকার অবাধে পশু বিক্রির অব্যবস্থাপনা রেখেই তা করছে। এটা করছে আওয়ামী নেতা ইজারাদারদের পকেট ভারী করার জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনার ভয়াবহতা অনুমান করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাট বসালে বা কেনা-বেচা করলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এগুলো যে বোলচাল তা বহু প্রমাণিত। এই করোনাকালেও সরকারের আদেশ-নির্দেশ বুর্জোয়া ব্যবসায়ীরা কানে তোলেনি তা বারবারই দেখা গেছে। এই হুঁশিয়ারের মধ্য দিয়ে মন্ত্রী মহোদয় আওয়ামী ঘরানার ইজারাদার মুনাফাখোরদের আড়াল করা এবং তাদের ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব জনগণের কাঁধে চাপানোর মতলব করছে।
যেমনটা তারা করেছে এই করোনাকালের শুরু থেকেই। ঘরহীন, বস্তিবাসী, বস্তিসর্বস্ব ঘরের নিম্নবিত্তদের ঘরে থাকার নসিহত করে মূলত উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তদের নিরাপদ করার ব্যবস্থ করেছে। তারা কার্যকরী লকডাউন ব্যবস্থা না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনগণকে গ্রামমুখী করে করোনা ছাড়ানোর প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা না করে এপ্রিলের শুরুতে শ্রমিকদের শহরে আনা ও পরে জনমতের চাপে গার্মেন্টস সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের গ্রামে ফিরে যেতে উৎসাহিত করেছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবীদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছানের (জনগণ নির্ভর) সুব্যবস্থা না করে ঘরে থাকার নসিহত করে মূলত তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। শ্রমজীবী জনগণ খাদ্যের সন্ধানে, ত্রাণের জন্য পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য এই গণবিরোধী সরকার অভুক্ত, অসহায় দরিদ্র জনগণকেই দায়ী করেছে। এখন কোরবানীর পশু বেচা-কেনার বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা না করে অবাধে পশু বেচা-কেনার অরাজকতার সৃষ্টি করার দিকে জনগণকে পরিচালিত করছে।
এই করোনা সংকটকালে ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত না দিয়েও সরকার জনগণের কাছে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানী না করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে পারত। পাশাপাশি কৃষক এবং পশু ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পশু বেচা-কেনার ব্যাবস্থা করতে পারত। কিন্তু সরকার তার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার ব্যবস্থা করতে পারে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা সরকার করতে পারে। এ কাজে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষিত তরুণ-যুবকদেরও (যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী) কাজে লাগাতে পারে। এতে কৃষকের গরু বিক্রির ব্যবস্থা হবে এবং জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। তরুণ-যুবকরাও কাজে লাগবে এবং এই করোনাকালে তারাও কিছু কাজ পাবে। সরকারের এ ধরনের কোনো চিন্তা বা পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কারণ তারা আওয়ামী ঘরানার ইজারাদারদের মুনাফার লাভের কর্মে ব্যস্ত। গণবিরোধী সরকার এই করোনাকালেও দেশের তরুণ-যুবকদের শক্তিকে কোনো কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নেইনি, নিচ্ছে না। তারা আওয়ামী নেতা (কথিত জনপ্রতিনিধি) কর্মী, ক্যাডারদের উপর দায়িত্ব দিয়ে মূলত তাদের লুটপাটের ব্যবস্থা করছে এবং গণক্ষমতার প্রতিরোধ করছে, তাকে ভয় পাচ্ছে।
সর্বস্তরের জনগণকে এই করোনা মহামারির ঊর্ধ্বমূখীকালে কোরবানীর পশু কেনা-বেচার জন্য সনাতনী পদ্ধতিতে পশুর হাট বন্ধ করা, অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থার জোর দাবি তুলতে হবে। আরেক ধাপ করোনা ছড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র